অনেক সময় ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ কবে শেষ হচ্ছে তা খেয়াল রাখেন না। রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হলে পড়তে হয় ঝামেলায়। মেয়াদ শেষ হওয়া লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালানো আইনত দণ্ডনীয়, যার জন্য বড় অঙ্কের জরিমানা এবং শাস্তি হতে পারে। পেশাদার লাইসেন্সের মেয়াদ ৫ বছর, অপেশাদার লাইসেন্সের মেয়াদ ১০ বছর। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দেরি করলে অতিরিক্ত জরিমানা প্রযোজ্য হবে। তাই সময় থাকতেই ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ নবায়ন করে নিন। আসুন জেনে নেওয়া যাক সহজেই কাজটি কীভাবে করবেন-
অপেশাদার হলে-
১. ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হলে করণীয় হলো প্রথমে নির্ধারিত ফি অনলাইনে জমা দেওয়া এবং তারপর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) নির্ধারিত সার্কেল অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করা। মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৫ দিন পর থেকে প্রতি বছরের জন্য অতিরিক্ত জরিমানা দিতে হবে।
২. অনলাইনে ফি জমা: প্রথমেই বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ওয়েবসাইট থেকে নবায়নের জন্য নির্ধারিত ফি (বর্তমানে ৪১৫২ টাকা) অনলাইনে জমা দিন।
পেশাদার হলে
১. পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সধারীদেরকে পুনরায় একটি ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ নবায়ন করতে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন-
১. নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
২. রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।
৩. ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি।
৪. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
৫. নির্ধারিত ফী জমাদানের রশিদ।
৬. সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট ও ১কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি।
সূত্র: বিআরটিএ


