বাংলাদেশে গত ১ সেপ্টেম্বর ফাইভজি সেবা চালু হওয়ায় স্মার্টফোন ব্যবহার ও ডিজিটাল সেবার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মুক্ত হয়েছে। ফাইভজি নেটওয়ার্কের উচ্চ গতির সংযোগ ব্যবহারকারীদের জন্য আরও দ্রুত, নির্ভরযোগ্য ও স্মুথ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করছে। এতে করে স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলো ফাইভজি সমর্থন করা ডিভাইস নিয়ে বাজারে প্রতিযোগিতা শুরু করেছে।
এই প্রতিযোগিতায় শীর্ষে রয়েছে টেকনো, যা ব্যবহারকারীদের চাহিদা অনুযায়ী স্মার্টফোন উপস্থাপন করছে। টেকনো ক্যামন ৪০ সিরিজ ইতিমধ্যে দেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে ক্যামন ৪০ প্রো ফাইভজি ডিভাইসটি ব্যবহারকারীদের নতুন অভিজ্ঞতা দিচ্ছে। সিরিজটির ফ্ল্যাশস্নাপ প্রযুক্তি, আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি ও প্রোডাক্টিভিটি টুলস ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন কাজকে আরও সহজ ও কার্যকর করছে।
টেকনো ক্যামন ৪০ প্রো ফাইভজি ৬.৭৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৭৩০০ চিপসেট, ৮+৮জিবি র্যাম এবং ২৫৬জিবি স্টোরেজের সঙ্গে আসে। ফোনের ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন রিয়ার ক্যামেরা ও ৫০ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা ব্যবহারকারীদের উজ্জ্বল ও বিস্তারিত ছবি তোলার সুবিধা দেয়। এছাড়া ৫২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং নিশ্চিত করে দীর্ঘ ব্যাকআপ।
ক্যামন ৪০ প্রো ডিভাইসটি তিনটি রঙে—গ্যালাক্সি ব্ল্যাক, এমেরাল্ড লেক গ্রীন ও গ্লেসিয়ার হোয়াইট—মিড-রেঞ্জের বাজেটের স্মার্টফোন বাজারে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করছে।
অন্যদিকে, টেকনো ক্যামন ৪০ প্রোও প্রিমিয়াম ফিচার, আইপি৬৮/৬৯ ডাস্ট ও ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স, ৫০ মেগাপিক্সেল রিয়ার ও ফ্রন্ট ক্যামেরা, ওয়ান-ট্যাপ ফ্ল্যাশস্নাপ ও উন্নত এআই টুলসের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের জন্য আধুনিক এবং স্মার্ট অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করছে। হেলিও জি১০০ প্রসেসর, ৮+৮জিবি র্যাম এবং ২৫৬জিবি স্টোরেজ সহ এটি মাল্টিটাস্কিং, গেমিং ও ভারী অ্যাপ ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।
ফিচারসমৃদ্ধ এই ডিভাইসগুলো যথাযথ মূল্যে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে—ক্যামন ৪০ প্রো ফাইভজি ৩৪,৯৯৯ টাকা এবং ক্যামন ৪০ প্রো ২৭,৯৯৯ টাকা। এটি প্রমাণ করছে, ফাইভজি যুগের সুবিধা এখন সাধারণ ব্যবহারকারীরও নাগালের মধ্যে।


