দেশজুড়ে শীতের তীব্রতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। উত্তরের জেলা পঞ্চগড় থেকে শুরু করে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ঠান্ডার প্রকোপে কাবু মানুষ। রাজধানীতে তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলেও পঞ্চগড়ে আজ সকালে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে চিহ্নিত।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এছাড়া দেশের অধিকাংশ জায়গায় ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। দুপুরের কিছু সময় হালকা রোদ দেখা গেলেও বিকেলের আগেই আবার কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে কুয়াশার মাত্রা আরও বাড়বে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।
রংপুর অঞ্চলের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় এবছর শীতের প্রকোপ বেশি হতে পারে। ডিসেম্বরের শেষভাগ থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শীতজনিত কষ্ট বেড়েছে কয়েকগুণ। বিশেষ করে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা খোলা আকাশের নিচে কিংবা অস্থায়ী ঝুপড়িতে মানবেতর জীবন যাপন করছে। শীতবস্ত্রের অভাবে ঠান্ডাজনিত নানা রোগ যেমন সর্দি, জ্বর, কাশি, বাড়ছে তাদের মধ্যে।
কুড়িগ্রামেও শুক্রবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঠান্ডা বাতাসের কারণে মানুষের চলাফেরাও সীমিত হয়ে পড়েছে। কাজকর্ম বন্ধ থাকায় দিনমজুর শ্রেণির মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, শীত মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ শুরু হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতজনিত সমস্যা এড়াতে গরম কাপড় পরা, গরম পানীয় গ্রহণ এবং যথাসম্ভব ঘরের ভেতরে থাকার পরামর্শ মেনে চলা জরুরি।
তীব্র শীতের এমন পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা। সরকারের পাশাপাশি সমাজের সামর্থ্যবান ব্যক্তিদেরও এসময় এগিয়ে আসার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।