ইলিশের প্রজনন মৌসুমে অবৈধ মৎস্য আহরণ প্রতিরোধে জাতীয় উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ এ অংশ নিয়েছে।
রবিবার (১২ অক্টোবর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ নীতির আওতায় পরিচালিত এ অভিযানে বিমান বাহিনী দেশের বিভিন্ন নদী ও উপকূলীয় অঞ্চলে এয়ার সার্ভেইলেন্স মিশন পরিচালনা করছে।
এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ৪-২৫ অক্টোবর পর্যন্ত বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার বিভিন্ন এলাকায় বিমান নজরদারি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
রবিবার (১২ অক্টোবর) এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলার মুন্সীগঞ্জ সদর, লৌহজং, শিবচর, কালকিনি, জাজিরা, নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ উপজেলা সমূহের নদীগুলোতে অবৈধ মৎস্য আহরণ রোধকল্পে বিমান নজরদারির জন্য উড্ডয়ন করে এবং তা সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করে।
এ ছাড়াও বাহিনীর আরেকটি হেলিকপ্টার রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় খুলনা, বাগেরহাট এবং সাতক্ষীরা জেলার শরণখোলা থেকে শ্যামনগর এবং সুন্দরবন ও দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল এলাকায় অবৈধ মৎস্য আহরণ রোধকল্পে বিমান নজরদারি উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করে এবং সফলতার সঙ্গে মিশন পরিচালনা করে।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারগুলোতে উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন সার্চলাইট (নাইট সান) সংযুক্ত রয়েছে, যা অন্ধকারে কার্যক্রম পরিচালনায় দৃশ্যমানতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দেয় এবং সন্ধ্যার পর মাছ ধরার নৌযানগুলোকে সুনির্দিষ্টভাবে পর্যবেক্ষণ করতে সহায়তা করে। এই মিশনে বিমান বাহিনীর ক্রুরা নাইট ভিশন গগলস ব্যবহার করেছেন, যা সম্পূর্ণ অন্ধকারে কার্যকর নজরদারি নিশ্চিত করে এবং নিষিদ্ধ মাছ ধরার কার্যক্রম শনাক্তকরণে সহায়তা করে।
মিশনগুলো আকাশ হতে ভূমিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে, যা মাঠ পর্যায়ের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন সমন্বয় নিশ্চিত করে।
উল্লিখিত অঞ্চল ছাড়াও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একাধিক ঘাঁটি থেকে কুতুবদিয়া, বরিশাল এবং ভোলা অঞ্চলসমূহে বিষয়োল্লেখিত মিশন সমূহ পরিচালনা করবে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী আকাশের অভিভাবক হিসেবে এবং দেশের পরিবেশ ও সম্পদ রক্ষায় দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ আছে ও থাকবে।


