বিভিন্ন গণমাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র কর্মকর্তাদের বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষা নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, সে বিষয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কর্মকর্তাদের যোগ্যতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে বিশেষ মূল্যায়ন পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হলে কয়েকজন কর্মকর্তা এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশনা প্রদান করে। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (ডিভিশন-২) রায়ের আলোকে জানায়, ইসলামী ব্যাংক একটি বেসরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান হওয়ায় কর্মকর্তাদের চাকরি ও কর্মদক্ষতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ব্যাংক নিজস্ব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। চাকরি রাখা বা বাদ দেওয়া সম্পূর্ণরূপে ব্যাংকের এখতিয়ারভুক্ত।
ব্যাংক জানায়, এ প্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ)-এর মাধ্যমে ২০২৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ উদ্যোগে আদালত অবমাননা বা কোনো আইনি ব্যত্যয় ঘটেনি বলেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।
ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, প্রতিষ্ঠানটি একটি শরী’আহভিত্তিক কমপ্লায়েন্ট ব্যাংক হিসেবে রাষ্ট্রীয় নীতি ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার সকল বিধি-বিধান যথাযথভাবে মেনে পরিচালিত হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কিছু মহল যে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও অপপ্রচার ছড়াচ্ছে, তা ভিত্তিহীন। এ বিষয়ে গ্রাহক, শুভানুধ্যায়ী ও সর্বসাধারণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।


