বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে বুধবার (৬ মে) দেখা দিয়েছে বড় ধরনের দরপতন। টানা দুর্বলতার মধ্যেই ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়ে ছড়িয়ে পড়া ভীতির কারণে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ শেয়ার বিক্রিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। ফলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)—উভয় বাজারেই সূচক বড় আকারে কমে গেছে।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দিন শেষে ১৪৯ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বা ৩.০১ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৪,৮০২ দশমিক ৪১ পয়েন্টে নেমে আসে, যা সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে অন্যতম বড় পতন। এদিন ডিএস৩০ সূচক কমেছে ২.১৯ শতাংশ এবং শরীয়াহ সূচক কমেছে ৩.৮৪ শতাংশ।
মোট ৩৯৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেনে অংশ নেয়, যার মধ্যে ৯৬ শতাংশের বেশি দর হারায়। দর বাড়ে মাত্র ৯টি কোম্পানির, আর ৫টির দর অপরিবর্তিত থাকে। এদিন ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫১৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, যা আগের দিনের তুলনায় কম।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে এক ধরনের অকারণ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বাজারে। মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তানে হামলা চালানোর পর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ভারতের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করে। এই খবর রাতেই সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং বুধবার সকাল থেকেই বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কে পড়ে যান।
তবে বাজার বিশ্লেষকদের মতে, এই উত্তেজনা স্থায়ী হবে না এবং বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর এর প্রত্যক্ষ প্রভাব খুবই সীমিত। তারা সতর্ক করে বলেন, আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করলে ক্ষতির মুখে পড়বে সাধারণ বিনিয়োগকারীরাই; আর লাভবান হবে সেই গোষ্ঠী যারা বাজারের অস্থিরতা কাজে লাগিয়ে শেয়ার কিনে রাখবে।
দিনের শুরু থেকেই সূচকের পতন লক্ষ্য করা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পতন আরও তীব্র হয়। যদিও এক পর্যায়ে সূচক কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে, তবে শেষ পর্যন্ত নেতিবাচক প্রবণতাই বাজারে প্রাধান্য পায়।