ভারত থেকে আমদানি করা আরও একটি চালের চালান চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের আওতায় (প্যাকেজ-৮) মোট ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল নিয়ে একটি জাহাজ সম্প্রতি বন্দরে নোঙর করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চলতি বছরের ২ মার্চ অনুষ্ঠিত উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির মাধ্যমে ভারত থেকে মোট ৫ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তার মধ্যে ৯টি প্যাকেজের অধীনে ইতোমধ্যে ৪ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টনের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশে পৌঁছেছে ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৭১৯ মেট্রিক টন চাল।
খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, সর্বশেষ জাহাজে আসা চালের নমুনা পরীক্ষার কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। পরীক্ষার ফল সন্তোষজনক হওয়ায় খুব দ্রুতই চাল খালাস কার্যক্রম শুরু হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের এমন আমদানিনির্ভর নীতি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, আবহাওয়া পরিবর্তন ও কৃষিপণ্যের দাম বাড়ার প্রেক্ষাপটে আমদানি কার্যক্রম সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এদিকে, বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চাল খালাস ও পরিবহন নিয়ে যাতে কোনো ধরনের জটিলতা না হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো সমন্বয় করে কাজ করছে। বন্দরে খালাসের পর এসব চাল দেশের বিভিন্ন খাদ্য গুদামে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চুক্তির আওতায় পর্যায়ক্রমে বাকি চালও দেশে পৌঁছাবে। এতে সরকারের খাদ্য মজুদ আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সরকারের এই উদ্যোগ দেশের বাজারে চালের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সহায়ক হবে বলেও মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। পাশাপাশি দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত জনগণের জন্য চালের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতেও এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।