বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকোর সঙ্গে যুক্ত ১১৭ বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্টের পোর্টফোলিও স্টেটমেন্টসহ বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) অনুরোধে এই তথ্য চাওয়া হয়েছে।
গত ১৪ নভেম্বর বিএসইসি স্টক এক্সচেঞ্জগুলোকে চিঠি দিয়ে নির্দেশ দেয়, বেক্সিমকোর সঙ্গে জড়িত ওই বিও অ্যাকাউন্টগুলোর কেওয়াইসি ফরম ও পোর্টফোলিও স্টেটমেন্ট আগামী তিন দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে এই নির্দেশ কার্যকর করার জন্য জানিয়েছে।
বিএফআইইউর প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, এই ১১৭ অ্যাকাউন্টের মালিকদের কেউ কেউ শেয়ারের দাম কারসাজিতে জড়িত। কয়েকজনের বিরুদ্ধে জরিমানাও করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আরও গভীর তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে।
এর আগে, বেক্সিমকোর ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও শেয়ার কারসাজির অভিযোগ ওঠে। আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি গ্রেপ্তার হন। এরপর বিএসইসি তার বিও অ্যাকাউন্টসহ সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দেয়।
অন্যদিকে, আর্থিক সংকটে থাকা বেক্সিমকো তাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে কর্মরত ৪১ হাজার শ্রমিকের অক্টোবর মাসের বেতন দিতে ব্যর্থ হয়েছে। শ্রমিকেরা এক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করছে এবং সড়ক অবরোধ করে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয় বেক্সিমকোকে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের জন্য বিশেষ ঋণ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শ্রমিকদের স্বার্থে এ ঋণ দ্রুত প্রদান করা হবে।
বিএসইসি জানিয়েছে, বেক্সিমকোর শেয়ার বাজার কার্যক্রম এবং এর প্রভাব মূল্যায়ন করতে তারা আরও গভীর পর্যবেক্ষণ চালাবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা পুঁজিবাজারে সুশাসন নিশ্চিত করতে এ ধরনের কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।