বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে রেমিট্যান্সের ডলার বা প্রবাসী আয় ১২৩ টাকার বেশি দামে না কেনার নির্দেশ দিয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ১৩টি ব্যাংকের সঙ্গে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের বাজারে অস্থিরতা বাড়তে শুরু করায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই পদক্ষেপ নিয়েছে। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে মৌখিক নির্দেশনা আসার পরই ডলারের দাম একদিনের ব্যবধানে ৩-৪ টাকা কমে যায়। অধিকাংশ ব্যাংক মঙ্গলবার ১২৩ টাকা দরে রেমিট্যান্সের ডলার সংগ্রহ করেছে। তবে অভিযোগ উঠেছে, নির্দেশনার পরও কিছু ব্যাংক ১২৪ টাকার রেট অফার করেছে।
বেসরকারি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তার মতে, পুরনো আমদানি দায় পরিশোধের জন্য কিছু ব্যাংক সম্প্রতি বেশি দামে রেমিট্যান্সের ডলার কিনতে বাধ্য হয়েছে। এর ফলে বাজারে ডলারের মূল্য বেড়ে যায়। বিশেষ করে ডিসেম্বর মাসে পেমেন্টের চাপে ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে, বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে বেশি দামে ডলার কেনায় ১৩টি ব্যাংককে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে দুইটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এবং ১১টি বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে। এসব ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গত দুই বছরে ডলারের বাজারে অস্থিরতা থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে হঠাৎ অস্থিরতা দেখা দেওয়ার পেছনে কিছু ব্যাংকের অতিরিক্ত দামে ডলার কেনার প্রবণতাই মূল কারণ।
ব্যাংকাররা মনে করছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নির্দেশনা ডলারের বাজারকে স্থিতিশীল করতে ভূমিকা রাখবে। তবে পেমেন্টের চাপ কমাতে ও আমদানি দায় পরিশোধে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন।


