মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার প্রধান মহাকাশচারী জোসেফ এম. আকাবা প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসছেন। আগামী সপ্তাহে তার এই সফরটি বাংলাদেশের মহাকাশ প্রযুক্তি এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, এবং গণিত (STEM) বিষয়ে অনুপ্রাণিত করা এবং মহাকাশ গবেষণার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করাই তার সফরের মূল উদ্দেশ্য।
জোসেফ আকাবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিভিন্ন মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। তিনি মহাকাশ বিজ্ঞান এবং রোবোটিক্সে ক্যারিয়ার গড়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন। এছাড়াও, শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও উদ্ভাবনের প্রতি উৎসাহিত করতে তিনি তার মহাকাশ মিশনের অভিজ্ঞতাগুলো ভাগ করবেন।
সফরের অংশ হিসেবে আকাবা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় মহাকাশ প্রযুক্তির ভূমিকা নিয়েও মতবিনিময় করবেন। তিনি বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে কীভাবে মহাকাশ প্রযুক্তি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ সমাধানে সহায়ক হতে পারে, তা ব্যাখ্যা করবেন। বিশেষত, আর্টেমিস অ্যাকর্ডস-এর মাধ্যমে নাসার সহযোগিতার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশ কীভাবে মহাকাশ প্রযুক্তিতে এগিয়ে যেতে পারে, সেসব বিষয় নিয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন।
এছাড়া, আকাবা একটি জনপ্রিয় টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে অংশ নেবেন, যেখানে তিনি নাসার বৈশ্বিক অবদান এবং বাংলাদেশের সঙ্গে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথা বলবেন। মহাকাশ গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশ কীভাবে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি সাধন করতে পারে, তা নিয়েও তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরবেন।
জোসেফ আকাবা তার কর্মজীবনে অসাধারণ দক্ষতার জন্য পরিচিত। পুয়ের্তো রিকো বংশোদ্ভূত এই মহাকাশচারী একজন ভূতত্ত্ববিদ, শিক্ষক এবং প্রাক্তন পিস কর্পস স্বেচ্ছাসেবক। নাসার মহাকাশচারী হিসেবে তিনি তিনটি মিশনে অংশ নিয়েছেন এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ৩০০ দিনেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন। ২০২৩ সালে নাসার নভোচারী কার্যালয়ের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আকাবা মহাকাশ প্রযুক্তি নিয়ে তার অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করবেন।
আকাবার এই সফর শুধুমাত্র বাংলাদেশি তরুণদের মহাকাশ গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করবে না, বরং বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ও সম্পর্ক আরও মজবুত করবে। এটি বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।