বিগত দেড় দশক ধরে বই উৎসব আয়োজনের নামে অর্থের অপচয় হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান এ কে এম রিয়াজুল হাসান। বুধবার (১ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান জানান, এবার শিক্ষাক্রমে হঠাৎ পরিবর্তন এবং বই ছাপানোর কাজ দেরিতে শুরু হওয়ায় বই সংশোধন ও পরিমার্জন করতে সময় লেগেছে। এ কারণে নতুন বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই তুলে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে অনলাইনে এনসিটিবির ওয়েবসাইটে পরিমার্জিত পাঠ্যবইগুলোর ভার্সন উন্মুক্ত করা হয়েছে। চেয়ারম্যানের তথ্য অনুযায়ী, ৪১ কোটির মধ্যে ইতোমধ্যে ৬ কোটি বই বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। আরও ৪ কোটি বই বিতরণের প্রস্তুতি চলছে। তিনি জানান, ৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রাথমিকের সব বই এবং মাধ্যমিকের ৮টি বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে। মাধ্যমিকের দশম শ্রেণির বই ১০ জানুয়ারির মধ্যে এবং অন্যান্য শ্রেণির সব বই ২০ জানুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাবে।
এ বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ৪৪১টি বই পরিমার্জন করা হয়েছে। এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, “আমাদের লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্পন্ন ও সময়োপযোগী বই নিশ্চিত করা। সব শ্রেণির বই অনলাইনে উন্মুক্ত করা হচ্ছে, যাতে শিক্ষার্থীরা সহজেই অ্যাক্সেস পেতে পারে।” অতীতের অপচয়ের সমালোচনা করলেও এনসিটিবি ভবিষ্যতে সময়মতো বই বিতরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে এই বিলম্ব শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে কিনা, তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।