নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে একটি সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ তার একটি ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন। ২৩ থেকে ২৪ নভেম্বরের মধ্যে আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যা ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
গবেষকের তথ্য অনুযায়ী, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি আমেরিকার আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল অনুযায়ী “ফেনগাল” নামে পরিচিত হবে, নামটি সৌদি আরব কর্তৃক প্রস্তাবিত। তবে এটি একটি দুর্বল প্রকৃতির ঝড় হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রাথমিক পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়টি বঙ্গোপসাগরের পশ্চিমদিকে অগ্রসর হয়ে ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্য এবং শ্রীলঙ্কার উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে।
ড. পলাশের মতে, সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় সরাসরি আঘাত হানার আশঙ্কা নেই। ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঝড়ের কেন্দ্রবিন্দু বাংলাদেশের অনেকটাই দক্ষিণে থাকবে। তবে এর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিপাত হতে পারে। নভেম্বর মাসের শেষ দিকটি সাধারণত উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার সময়। ফলে এই সময়ে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি একটি স্বাভাবিক ঘটনা। তবে এবারের সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি শক্তির দিক থেকে দুর্বল থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, ২৩ থেকে ২৪ নভেম্বরের মধ্যে সৃষ্ট লঘুচাপটি ধীরে ধীরে শক্তি অর্জন করে ২৬ থেকে ২৮ নভেম্বরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। তবে এর গতিপথ, শক্তি এবং সম্ভাব্য প্রভাব আরও নির্ভুলভাবে বুঝতে পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন।
যদিও ঝড়টি সরাসরি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানবে না, তবে ঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টিপাতের কারণে স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। উপকূলীয় এলাকায় মাছ ধরার নৌকা ও জাহাজগুলোকে সাবধানে চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হতে পারে।
আবহাওয়া পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তনশীল। তাই আগামী কয়েকদিনে এই বিষয়ে আরও নির্ভুল তথ্য জানা যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।


