ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালনরত চিকিৎসক ডা. ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে ঘিরে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. আবু জাফর হাসপাতালের সামগ্রিক সেবা ও ব্যবস্থাপনা পর্যালোচনা করতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র বাকবিনিময় ঘটে। এই মুহূর্তের একটি ভিডিও দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় কেস রিভিউ বা সমস্যাগুলো নিয়ে কথা বলা না করে কেবল কক্ষের ভেতরের টেবিল সরানোর বিষয়ে প্রশ্ন করায় বিরক্ত হন ডা. ধনদেব। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কাছ থেকে পেশাদার আচরণ প্রত্যাশা করাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাস্তবে তিনি তা পাননি। বরং দীর্ঘদিন পদোন্নতি না পাওয়া—যা তার ভাষায় অনেকটাই ব্যক্তিগত বেদনা—ঘটনার আবেগকে আরও বাড়িয়ে দেয়। তিনি অভিযোগ করেন, “আমার সমসাময়িক সবাই অধ্যাপক হয়ে গেছে, আর আমি এখনও পিছিয়ে আছি। যদি এজন্য আমাকে পদচ্যুতও করা হয়, আমি তাতেও খুশি।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, পদোন্নতি না পাওয়ার পেছনে ডা. ধনদেবের নিজের অবহেলাই মূল কারণ। আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ মেয়াদে তিনি কখনও প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করেননি। বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) জমা না দেওয়া, ফাউন্ডেশন ট্রেনিং না করা, ডিপার্টমেন্টাল ও সিনিয়র স্কেল পরীক্ষায় অংশ না নেওয়াসহ পদোন্নতির বেশ কয়েকটি বাধ্যতামূলক ধাপ তিনি উপেক্ষা করেন।
অবশেষে চলতি বছরের ২৯ জুলাই অন্তর্বর্তী সরকারের সময় তিনি ইনসিটু ভিত্তিতে সহকারী অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। তবে সাম্প্রতিক উত্তেজনার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়।


