চলতি ২০২৫ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) সিগারেট বিক্রি কমেছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের (বিএটিবিসি)। কোম্পানির সিগারেট বিক্রি কমেছে ১ হাজার ৪০৬ কোটি ৬০ লাখ শলাকা বা ২৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটি বিক্রি করেছে ৩ হাজার ৬২৩ কোটি ৯০ লাখ শলাকা, যা আগের হিসাব বছরের ৫ হাজার ৩০ কোটি ৫০ লাখ শলাকার তুলনায় অনেক কম।
তবে বিক্রি কমলেও আয় বেড়েছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, তিন প্রান্তিকে কোম্পানির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ৯০৬ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ৩০ হাজার ৮৪৩ কোটি টাকা। আয় বৃদ্ধির পরও নিট মুনাফা কমে দাঁড়িয়েছে ৭২০ কোটি টাকায়, যা আগের বছরে ছিল ১ হাজার ৩২৩ কোটি টাকা—অর্থাৎ মুনাফা কমেছে প্রায় ৪৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
বিএটিবিসি জানিয়েছে, বিক্রি হ্রাস, শুল্ক বৃদ্ধি এবং ঢাকার কারখানা স্থানান্তরজনিত অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে মুনাফা কমেছে।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৩ টাকা ৩৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২৪ টাকা ৪৯ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শেষে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১০৫ টাকা ২২ পয়সা।
এর আগে ২০২৪ হিসাব বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ৩০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়—১৫০ শতাংশ অন্তর্বর্তী ও ১৫০ শতাংশ চূড়ান্ত। ঐ বছরে কোম্পানির ইপিএস ছিল ৩২ টাকা ৪২ পয়সা এবং এনএভিপিএস ছিল ১০৬ টাকা ৮৮ পয়সা।
বিএটিবিসির দীর্ঘমেয়াদি ঋণমান ‘ট্রিপল এ’ এবং স্বল্পমেয়াদি ‘এসটি-ওয়ান’ হিসেবে মূল্যায়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)।
১৯৭৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই বহুজাতিক কোম্পানির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন ৫৪০ কোটি টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৫ হাজার ২২৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা। মোট শেয়ারের ৭২ দশমিক ৯১ শতাংশ উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে, সরকারের কাছে দশমিক ৬৪, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৪ দশমিক ১১, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩ দশমিক ৪৩ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ শেয়ার।


