যাত্রী কল্যাণ সমিতি ও বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি (বিআরটিএ) থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার ও আহতদের এককালীন বড় অংকের আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে সরকার। দুর্ঘটনার ৩০ দিনের মধ্যে প্রমাণসহ বিআরটিএ অফিসে আবেদন করতে হয়।
২০২২ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও পরিবারকে সহযোগিতা দিতে ‘ট্রাস্ট’ গঠন করে সরকার। তিন বছরে ২ হাজার চেকের মাধ্যমে ৮৮ কোটি টাকার বেশি সহায়তা দিয়েছে বিআরটিএ। তবে অনেকে এই তহবিল সম্পর্কে জানেন না। ফলে বিপুল পরিমাণ অর্থ এখনো পড়ে আছে তহবিলে।
তথ্য অনুযায়ী, যাচাই-বাছাই শেষে নিহত ব্যক্তির পরিবারকে এককালীন ৫ লাখ টাকা, গুরুতর অঙ্গহানির ক্ষেত্রে ৩ লাখ টাকা এবং যারা চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রাখেন, তাদের দেওয়া হয় ১ লাখ টাকা।
ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে অনেকে সহায়তা পেলেও কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, নিয়ম অনুযায়ী সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকেই আবার আবেদন প্রক্রিয়া, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও যোগাযোগের ঠিকানা সম্পর্কে অবগত নন।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ১ হাজার ৯২৫ পরিবারকে মোট ৮৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা সহায়তা দিয়েছে বিআরটিএ। বর্তমানে বোর্ডের তহবিলে রয়ে গেছে ২২০ কোটি টাকা।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমরা মোট ৩০৭ কোটি টাকা রিসিভ করেছি। এর মধ্যে একটি অংশ ইনভেস্টমেন্টে গেছে। ২০২২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৮৮ কোটি টাকার বেশি বিতরণ করা হয়েছে, ২ হাজার চেক দেওয়া হয়েছে। শুধু শেষ ৪ মাসেই ৩০ কোটি ২৬ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।”
সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহায়তা পেতে হলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত দুর্ঘটনার খবরের কপি, মামলার নথি, হাসপাতালের চিকিৎসার তথ্য অথবা মৃত্যুসনদ সংযুক্ত করে আবেদন করতে হয়।


