নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে কমিশন ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে পুনরায় ভোটগ্রহণ করার সুপারিশ করেছে। কমিশনটি তাদের সুপারিশগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ৯ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদন আকারে জমা দিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু সুপারিশ রয়েছে, যার মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া, প্রার্থী মনোনয়ন, নির্বাচন ব্যয় এবং নির্বাচনী অভিযোগ ব্যবস্থাপনা অন্তর্ভুক্ত। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো আসনে যদি মোট ভোটারের ৪০% ভোট না পড়ে, তবে সেখানে পুনঃনির্বাচন করতে হবে। কমিশনটি একই সঙ্গে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের ব্যবস্থা বন্ধ করার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থীদের সততা ও যোগ্যতা নিশ্চিত করারও পরামর্শ দিয়েছে।
এছাড়া, ইভিএম ব্যবহারের বিধান বাতিল করার সুপারিশ করা হয়েছে। কমিশনটির মতে, নির্বাচনকালীন সময়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্বে প্রতিরক্ষা বিভাগও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।, এছাড়া, নির্বাচনী তফসিলের আগে প্রার্থীদের আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার এবং মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে। কমিশনটি প্রস্তাব করেছে, নির্বাচনী ব্যয় যাতে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হয় এবং সকল ব্যয় ব্যাংকিং ব্যবস্থা বা আর্থিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচালিত হয়, সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ হলো, নির্বাচন কমিশন একটি পূর্ণাঙ্গ বিচারিক সত্তা বা ‘নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি’ গঠন করার প্রস্তাব করেছে, যাতে নির্বাচনী অপরাধের ক্ষেত্রে দ্রুত তদন্ত ও বিচার কার্যক্রম চালানো যেতে পারে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের পাশাপাশি, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পুলিশ সংস্কার কমিশনও তাদের সুপারিশগুলো জমা দিয়েছে। সবগুলো কমিশনের সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে ফেব্রুয়ারিতে। আলোচনার মাধ্যমে যেসব সংস্কারের প্রস্তাব ঐকমত্যে পৌঁছাবে, সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।
এ রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে, কমিশনগুলোর সুপারিশ গ্রহণ করার পর, বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে।


