‘লাব্বাইক আল্লাহ হুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়া ইন্নামাতা লাকাউল মুলক লা শারিকালাক’ ধ্বনিতে মুখরিত মক্কা। কঠোর নিরাপত্তা। চিকিৎসাসেবা। সড়ক শৃঙ্খলা। সবদিক দিয়েই প্রস্তুতি সম্পন্ন। এ অবস্থায় আজ বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে এবারের পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা।
সৌদি আরব জানিয়েছে, এরই মধ্যে বিশ্বের ৭১টি দেশ থেকে ৩ হাজার ৩১৪টি ফ্লাইটে হজযাত্রীরা উপস্থিত হয়েছেন। তাদের সাত দিনে উন্নতমানের মেট্রো সার্ভিস দেওয়ার জন্য একটি বিশেষ ট্রেন ৪ হাজার ৯০০ বার আসা-যাওয়া করবে। সড়ক নিরাপত্তায় ৭ হাজার ৪০০ কিলোমিটার রাস্তাকে স্ক্যান করা হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে। একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় সংস্কার নিশ্চিত করা হচ্ছে।
জানা গেছে, আল মাশায়ের আল মুগাদ্দাসা মেট্রো লাইনে ওই বিশেষ ট্রেনটি চলাচল করবে সাত দিন। এ সময় প্রায় ২০ লাখ হজযাত্রীকে সেবা দেবে তারা। ইংরেজিতে এই ট্রেনটি পরিচিত ‘স্যাক্রেড সাইটস ট্রেন লাইন’ নামে। এটি মক্কার রেলব্যবস্থায় উচ্চ সক্ষমতাসম্পন্ন একটি ট্রেন। বছরে হজের সময় মাত্র সাত দিন এই ট্রেনটি শাটল সার্ভিস দেয়। তারা হজযাত্রীদের বিভিন্ন পবিত্র স্থাপনায় আনা-নেওয়া করে।
পরিবহন ও লজিস্টিক সার্ভিসেসের মুখপাত্র সালেহ আল জাওয়াইদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, বিমান, স্থল, সমুদ্র, লজিস্টিকসসহ সফরের সব সেক্টরে বার্ষিক হজযাত্রার বিস্তৃত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত বছরের তুলনায় হারামাইন হাইস্পিড রেলওয়ের ট্রিপসংখ্যা শতকরা ৭৫ ভাগ বাড়ানো হয়েছে। উপরন্তু কমপক্ষে ২৫ হাজার বাস হজযাত্রীদের নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক সফরকে নিশ্চিত করতে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রেও ইন্সপেকশন প্রক্রিয়া আছে। পরিবহনব্যবস্থাকে উন্নত করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ ড্রোনসহ সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেক যানবাহনে এআই ব্যবহার করে সড়ক স্ক্যান করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
হজবিষয়ক যোগাযোগ ও প্রযুক্তিবিষয়ক মুখপাত্র সা’দ আল শানবারি বলেছেন, মক্কা, মদিনা এবং পবিত্র স্থাপনাগুলোয় ফোরজি এবং ফাইভজি কভারেজ বাড়ানো হয়েছে শতকরা ৯৯ ভাগ। ইন্টারনেটের গতিও বাড়ানো হয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। হজযাত্রীদের জন্য কমপক্ষে ১০ হাজার ৫০০ স্থানে ওয়াই-ফাই পয়েন্ট বসানো হয়েছে।