ঈদের টানা ছুটির পর রাজধানীতে ধীরে ধীরে ফিরতে শুরু করেছে জনসাধারণ। কিন্তু এখনো বাজারে দেখা যাচ্ছে না চিরচেনা কোলাহল। ফলে রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারে পণ্য বিক্রেতারা থাকলেও ক্রেতার উপস্থিতি অত্যন্ত কম। এই পরিস্থিতিতে নিত্যপণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় বেশিরভাগ জিনিসপত্রই বিক্রি হচ্ছে তুলনামূলকভাবে কম দামে, যা স্বস্তি এনে দিয়েছে সাধারণ ভোক্তাদের মাঝে।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সকালে কারওয়ান বাজার, নিউমার্কেট, নয়াবাজার ও কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও বিক্রেতারা অপেক্ষা করছেন ক্রেতার জন্য। কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আনিস বলেন, “শাক-সবজির দাম কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ক্রেতা না থাকায় বিক্রি নেই, তাই দামও পড়েছে।”
সবজির বাজারে করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়, ঢ্যাঁড়শ ৩০ টাকা, বরবটি ৩০-৪০ টাকা, আলু ২০-২২ টাকা, আর লাউ ও চালকুমড়া ৫০-৬০ টাকায়। পাশাপাশি বেগুন, শসা ও লেবুর দামেও উল্লেখযোগ্য পতন দেখা গেছে।
প্রোটিনের উৎস হিসেবেও কিছুটা স্বস্তির খবর আছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা কমে এসেছে, এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০-২১০ টাকায়। তবে দেশি মুরগি, হাঁস ও গরুর মাংসের দাম এখনো স্থিতিশীল রয়েছে। গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১,২৫০ টাকায়।
মাছের বাজারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, পাঙাশের দাম তুলনামূলকভাবে একই থাকলেও দেশি কৈ ও শিং মাছের দাম এখনো চড়া। তবে বেশিরভাগ মাছের দাম নিয়ে ক্রেতারা সন্তুষ্ট।
ডিম ও চালের বাজারে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকায় (লাল), আর মিনিকেট চালের দাম ৮৬-৯০ টাকা কেজি। বাজারে পেঁয়াজ ও আদার দামও স্থিতিশীল রয়েছে।
বিক্রেতাদের আশঙ্কা, পুরোপুরি ঢাকা ফিরতে আরও কিছুদিন লাগবে। ততদিন পর্যন্ত বাজারে স্বস্তির এই ধারা বজায় থাকতে পারে। তবে চাহিদা বাড়লে আবারও দাম বাড়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তারা।