বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প গ্রুপ বেক্সিমকো গ্রুপের ১৬টি পোশাক কোম্পানির মালিকানা বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বেক্সিমকো গ্রুপের কিছু প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনের পথে হাঁটছে, যেখানে খাত বিশেষে লাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চালু রাখা হবে এবং লোকসানে চলমান প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করা হবে। সরকারের উদ্যোগে গঠিত ১১ সদস্যবিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বেক্সিমকো গ্রুপের আওতাধীন ১৬৯টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার মধ্যে পোশাক খাতের ৩২টি কোম্পানি রয়েছে। এই ৩২টি কোম্পানির মধ্যে ১৬টির মালিকানা বিক্রি করা হবে, যা সরকারের এক বড় সিদ্ধান্ত হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। এটি বেক্সিমকো গ্রুপের অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে দেখানো হচ্ছে, যার মাধ্যমে মুনাফাভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিস্কার করে লাভজনক খাতগুলোকে আরও শক্তিশালী করা হবে। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, যেটি এখনও লাভজনক অবস্থানে রয়েছে, সেটি চালু থাকবে।
উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, গ্রুপের লাভজনক কোম্পানিগুলোকে ‘এ’ শ্রেণির অধীনে রাখা হবে, যেখানে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসও রয়েছে। এছাড়া, অন্যান্য কোম্পানিগুলোকে ‘বি’ এবং ‘সি’ শ্রেণিতে ভাগ করা হবে। বিশেষভাবে ‘সি’ শ্রেণিতে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো লোকসানে চলতে থাকলে কর্মচারীদের তিন মাসের বেতন পরিশোধের পর বন্ধ করা হবে।
সরকারের এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো বেক্সিমকো গ্রুপের অসুস্থ প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্গঠন, যাতে পরবর্তীতে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও শক্তিশালী হয়। এই প্রসঙ্গে, শ্রম এবং কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, “শ্রমিকদের মজুরি ও কর্মপরিবেশের সমস্যা সমাধানে সঠিক ব্যবস্থা নিতে হবে, অন্যথায় এটি দেশের শিল্প খাতের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।”
উল্লেখযোগ্য যে, সরকারের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বেক্সিমকো গ্রুপের ভবিষ্যত গঠনের একটি নতুন দিক উন্মোচিত হচ্ছে, যা দেশের শিল্প ক্ষেত্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।