বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে খালাস দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক আবু তাহের এই রায় ঘোষণা করেন।
২০০৮ সালে দায়ের হওয়া এই মামলায় মোট ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছিল। তবে মামলা চলাকালীন সময়ে কয়েকজনের মৃত্যু এবং ফাঁসি কার্যকরের ফলে আসামির সংখ্যা কমে আসে। বিতর্কিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হয়। অন্যদিকে, মামলার আরও তিন আসামি—ব্যারিস্টার আমিনুল হক, সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার এবং সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম মারা যান।
ফলে মামলায় বর্তমানে সাতজন আসামি ছিলেন। তাদের মধ্যে আজ খালেদা জিয়া, ড. খন্দকার মোশাররফ এবং আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে খালাস দেওয়া হলেও মামলার তালিকায় বাকি চারজন আসামি হিসেবে রয়ে গেছেন। তারা হলেন সাবেক জ্বালানি সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মুঈনুল আহসান, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন এবং মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিল, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি প্রকল্পে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবহারের অনিয়ম এবং দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। তবে খালাসপ্রাপ্ত আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানান বিচারক।
প্রসঙ্গত, এ মামলায় দীর্ঘদিন ধরে বিচার প্রক্রিয়া চলছিল। বিএনপি দাবি করে আসছিল, এ মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। খালাস পাওয়ার পর বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ রায় সত্য প্রতিষ্ঠার বিজয়।
তবে, যাদের বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে তাদের নিয়ে আদালত এখনও সিদ্ধান্ত নেননি। মামলার পরবর্তী কার্যক্রমে তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হবে বলে জানা গেছে।