ঘন কুয়াশার কারণে দেশের গুরুত্বপূর্ণ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। কুয়াশার তীব্রতার কারণে নদীতে দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর ফলে মাঝ নদীতে আটকে গেছে ছোট-বড় তিনটি ফেরি, যা যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে অবস্থান করছে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে এবং রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টা থেকে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, রাত থেকেই কুয়াশার ঘনত্ব বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ভোরের দিকে কুয়াশার তীব্রতা এতটাই বেড়ে যায় যে ফেরি চলাচলের বিকন বাতি এবং মার্কিং পয়েন্টগুলো আর দেখা যাচ্ছিল না। এতে করে নৌপথ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।
পাটুরিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাম হোসেন জানান, “কুয়াশার মাত্রা কমে গেলে ফেরি চলাচল আবার স্বাভাবিক করা হবে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং কুয়াশা কেটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফেরি চলাচল পুনরায় চালু করা হবে।”
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. নাসির মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “ঘন কুয়াশার কারণে নৌপথ দৃষ্টিসীমার বাইরে চলে গেছে। এ অবস্থায় ফেরি চালানো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে।”
এদিকে ঘাট এলাকায় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় যানবাহন ও যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে। ঘাটে যানবাহনের সারি দীর্ঘ হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক ও ব্যক্তিগত যানবাহন। তীব্র শীতের মধ্যে যাত্রীরা অপেক্ষায় থাকায় দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথ দেশের অন্যতম ব্যস্ত নৌরুট। এসব রুট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন ও যাত্রী পারাপার হয়। তবে শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়া একটি সাধারণ ঘটনা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছে এবং যত দ্রুত সম্ভব ফেরি চলাচল চালুর চেষ্টা চলছে।