সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে জশোরের সারদা পুলিশ একাডেমিতে সংযুক্ত (সাবেক গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার) ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলাম ও রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত (সাবেক সিলেট জেলার পুলিশ সুপার) আব্দুল মান্নানকে।
সোমবার (১৭ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি প্রজ্ঞাপন দুটিতে স্বাক্ষর করেন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এ কারণে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৩৯(২) ধারার বিধান অনুযায়ী তাকে ওই দিন থেকেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
একইভাবে, ৯ ফেব্রুয়ারি রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল মান্নানকেও গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাকে সিলেট কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ফলে তাকেও একই আইনের অধীনে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, বরখাস্ত থাকা অবস্থায় এই দুই কর্মকর্তা বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাওয়ার যোগ্য হবেন। তবে, তারা চাকরিতে পুনর্বহালের আগ পর্যন্ত কোনো সরকারি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না। ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অতীতে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
অন্যদিকে, আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধেও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। সিলেটে দায়িত্ব পালনকালে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠে আসে। এর আগে, গত ১১ মার্চ গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ, বাগেরহাট জেলার সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান ও নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
সরকারি চাকরিতে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আগামী দিনে আরও তদন্তের মাধ্যমে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।