নতুন বছরের প্রথম মাসে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। তবে আগের মাস, অর্থাৎ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ডলার, যা দেশের ইতিহাসে একক মাসের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল। সেই তুলনায় জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স কিছুটা কমেছে।
বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে) জানুয়ারির মোট রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৬ হাজার ৬৫৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ, প্রতিদিন গড়ে ৭ কোটি ৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫১ কোটি ১১ লাখ ৩০ হাজার ডলার, যা মোট রেমিট্যান্সের একটি বড় অংশ। এছাড়া, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৫৫ কোটি ১৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৪ লাখ ৯০ হাজার ডলার।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জানুয়ারির শেষ ছয় দিনে (২৬-৩১ জানুয়ারি) প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৫০ কোটি ৯২ লাখ ৬০ হাজার ডলার। এর আগে, ১৯-২৫ জানুয়ারিতে এসেছে ৪৬ কোটি ৯০ লাখ ৯০ হাজার ডলার, ১২-১৮ জানুয়ারিতে এসেছে ৪০ কোটি ২ লাখ ৭০ হাজার ডলার, এবং ৫-১১ জানুয়ারিতে এসেছে ৫০ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার। নতুন বছরের প্রথম চার দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২২ কোটি ৬৭ লাখ ৩০ হাজার ডলার।
২০২৪ সালে বাংলাদেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২,৬৮৮ কোটি ৯১ লাখ ডলার। এর মধ্যে ডিসেম্বরে এসেছে সর্বোচ্চ ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ডলার, যা একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্সের রেকর্ড গড়েছে। অন্যদিকে, জুলাইয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল সবচেয়ে কম, মাত্র ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ডলার।বিশ্লেষকদের মতে, ডিসেম্বর মাসে উচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহের অন্যতম কারণ ছিল প্রবাসীদের বছরের শেষ দিকে বেশি অর্থ পাঠানোর প্রবণতা। তবে জানুয়ারিতে তুলনামূলক কম প্রবাহ হলেও সামগ্রিকভাবে রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক দিক।