কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে বেক্সিমকো ফার্মা। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট (এসএসআই) ও বাংলাদেশের সরকারের মধ্যে সম্পাদিত ভ্যাকসিন ক্রয় চুক্তি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই হয়েছে এবং এ নিয়ে যেসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তা বস্তুনিষ্ঠ নয়।
বেক্সিমকো ফার্মার পক্ষ থেকে জানানো হয়, সিরাম ইনস্টিটিউট সরাসরি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি করতে চায়নি, কারণ প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে সক্ষম ছিল না। পাশাপাশি, আমলাতান্ত্রিক জটিলতাও এড়িয়ে যেতে চেয়েছিল। তাই, তাদের পক্ষ থেকে একজন নির্ভরযোগ্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠানকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে রাখার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
বেক্সিমকো ফার্মা আরও জানায়, বাংলাদেশ সরকার সাধারণত বিদেশি প্রস্তুতকারকদের কাছ থেকে সরাসরি ভ্যাকসিন ক্রয় করে না। বরং, নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এ ধরনের চুক্তি বাস্তবায়নে মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করা স্বাভাবিক এবং বৈধ প্রক্রিয়ার মধ্যেই পড়ে।
বেক্সিমকো দাবি করে, তারা সরকার ও জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে দায়িত্বশীল মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছে এবং নিশ্চিত করেছে যে ভ্যাকসিন যথাযথভাবে দেশে আসছে ও বিতরণ হচ্ছে। এর ফলে, মহামারির সময়ে বাংলাদেশের জনগণ দ্রুত ভ্যাকসিন পাওয়ার সুযোগ পেয়েছে
কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, ভ্যাকসিন চুক্তিতে সরকারি ক্রয় বিধি অনুসরণ করা হয়নি এবং এর ফলে স্বচ্ছতার অভাব দেখা গেছে। তবে বেক্সিমকো এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর বলে অভিহিত করেছে।
প্রতিষ্ঠানটির মতে, সিরাম ইনস্টিটিউটের শর্ত ও বাংলাদেশ সরকারের নীতির আলোকে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে এবং এতে কোনো অনিয়ম হয়নি। তারা আরও জানায়, চুক্তিটি সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ অবগত ছিল এবং সব আনুষ্ঠানিকতা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়েছে।
বেক্সিমকো ফার্মা মনে করে, তারা এই চুক্তির মাধ্যমে দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যদি তারা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে না থাকত, তাহলে সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে বাংলাদেশ সরকার সরাসরি ভ্যাকসিন আনতে পারত না। ফলে, জনগণ আরও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতো।
বেক্সিমকো ফার্মা দৃঢ়ভাবে জানায়, তারা সবসময় স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতার সঙ্গে কাজ করে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কাজে অবদান রাখতে প্রস্তুত।