পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম জানিয়েছেন, সম্প্রতি খোয়া যাওয়া এক হাজার ৩৫০টি অস্ত্র এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, এই অস্ত্রগুলোর একটি অংশ পার্বত্যাঞ্চল এবং আরসা’সহ বিভিন্ন গোষ্ঠীর হাতে চলে গেছে। তিনি আশ্বস্ত করেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্যেই অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে এবং দ্রুতই এ বিষয়ে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীতে দুর্গাপূজার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে আইজিপি এসব কথা বলেন। তিনি জানান, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশ সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সে জন্য প্রয়োজনে পুলিশ আরও কঠোর অবস্থান নেবে।
আইজিপি আরও বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণে পেশাগত দক্ষতা, নিরপেক্ষতা এবং দায়িত্ব পালনের কৌশলকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দক্ষতা অর্জনের ফলে পুলিশ সদস্যরা নির্ভরযোগ্যভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে পারবে।
এছাড়া দুর্গাপূজা উপলক্ষে সারাদেশে পূজামণ্ডপ ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আইজিপি সতর্ক করে বলেন, কেউ যদি উৎসবের সময়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করে, তবে কঠোর হাতে তা দমন করা হবে।
তিনি বলেন, “ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশ সর্বদা জনগণের পাশে থাকবে। একইসঙ্গে আমরা নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখব।” আইজিপি বাহারুল আলমের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে, নির্বাচন ও উৎসবকে ঘিরে নিরাপত্তায় কোনো ধরনের শৈথিল্য থাকবে না। জনগণের আস্থা রক্ষায় পুলিশ সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।


