পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা তিনটি পৃথক মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এ এই মামলার পঞ্চম দিনে আরও ৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
সাক্ষ্যদানকারীরা হলেন—প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মোটর ক্লিনার মোহাম্মদ উজ্জ্বল হোসেন, গাজীপুর কালীগঞ্জের সাব-রেজিস্ট্রার জাহিদুর রহমান, গাজীপুর সদর রেকর্ড রুমের সাব-রেজিস্ট্রার মাহবুবুর রহমান, ঢাকার সাবেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মেজবাহউর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক তৈয়বা রহিম, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মুদ্রাক্ষরিক কামরুন্নাহার, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম এবং কম্পিউটার অপারেটর মুক্তি তরফদার।
আদালতের বিচারক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামী ১৫ অক্টোবর পরবর্তী দিন ধার্য করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের বিশেষ পিপি মীর আহমেদ আলী সালাম। এ পর্যন্ত তিন মামলায় মোট ২৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর ৫ জন, ২ সেপ্টেম্বর ৫ জন, ২৬ আগস্ট ৭ জন এবং ১১ আগস্ট তিন বাদী আদালতে সাক্ষ্য দেন।
তিনটি মামলার মধ্যে একটিতে শেখ হাসিনাসহ ১২ জন, আরেকটিতে তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৭ জন এবং অপরটিতে মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে প্রতিটি মামলাতেই শেখ হাসিনা ও রাজউকের কয়েকজন কর্মকর্তা মূল আসামি হিসেবে রয়েছেন। তারা বর্তমানে পলাতক থাকায় অনুপস্থিতিতেই সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।
গত ৩১ জুলাই একই আদালত অভিযোগ গঠন করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার অগ্রগতির সাথে সাথে আইনজীবীরা ধারণা করছেন, প্রমাণ-সাক্ষ্য উপস্থাপনের পর এ তিনটি মামলা নিয়ে আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে উঠবে।


