নির্বাচন কমিশন (ইসি) যদি কোনোভাবে ব্যর্থ হয়, তাহলে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন পিছিয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। রোববার (৩ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সিইসি জানান, নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা অনেক বেড়েছে, তাই কমিশনকে সতর্ক থাকতে হবে।
নাসির উদ্দিন বলেন, “নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের প্রত্যাশা বেড়ে গেছে। আমরা যদি কোনোভাবে ব্যর্থ হই, তাহলে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাধাগ্রস্ত হবে। এত মানুষের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে, যা জাতির জন্য একটি কঠিন পরীক্ষা হয়ে দাঁড়াবে।”তিনি আরও বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর চিন্তা এক থাকবে না, এটি স্বাভাবিক। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা সঠিক দিকনির্দেশনা খুঁজে পাবে এবং নির্বাচনের স্বার্থে ঐক্যমতে পৌঁছাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”
সিইসি মনে করেন, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পূর্ণ ঐকমত্যের প্রয়োজন নেই। তবে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে সব পক্ষের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “১৮ কোটি মানুষের প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করছে ইসি। সব রাজনৈতিক দলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা আমাদের দায়িত্ব।” নির্বাচনে কারচুপি বা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে ভোটে জেতা সম্ভব, কিন্তু তা দীর্ঘমেয়াদে নিজের, দেশের এবং দলের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়।”
সিইসি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “নির্বাচন শুধু কমিশনের দায়িত্ব নয়, রাজনৈতিক দলগুলোকেও দায়িত্বশীল হতে হবে। গণতন্ত্রের স্বার্থে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।” তিনি আরও বলেন, কমিশন চায়, সব দল নির্বাচনে অংশ নিক এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত হোক। ভোটারদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, “নির্বাচন শুধু কমিশনের একার বিষয় নয়, ভোটারদেরও সচেতন থাকতে হবে। তারা যদি সঠিকভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে, তবেই গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে।”
জাতীয় ভোটার দিবসে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে সিইসি ভোটারদের সচেতনতা বাড়াতে নানা কর্মসূচি গ্রহণের ঘোষণা দেন।