রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা দেশের ক্রমাগত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ধর্ষণ, খুন, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েই চলেছে, অথচ প্রশাসন কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে। বিশেষ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর ভূমিকা নিয়েও তারা প্রশ্ন তোলেন। তাদের দাবি, বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে তিনি সম্পূর্ণ ব্যর্থ, তাই তাকে দ্রুত পদত্যাগ করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, “যে নারীরা জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সামনের সারিতে ছিলেন, তারাই এখন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। রাস্তায় বের হলে সাধারণ মানুষ ছিনতাই-ডাকাতির শিকার হচ্ছে, কিন্তু প্রশাসন নীরব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে না। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ অবস্থার দায় এড়াতে পারেন না, তাই তাকে পদত্যাগ করতেই হবে।”
বিক্ষোভকারীরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সতর্ক করে বলেন, “যেভাবে আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনের অবসান ঘটিয়েছি, ঠিক সেভাবেই যদি বর্তমান সরকার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে তাদেরও বিদায় করতে আমরা পিছপা হবো না।” বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। কর্মসূচির একপর্যায়ে তারা প্রতীকী গায়েবানা জানাজার আয়োজন করেন, যা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ব্যর্থতার বিরুদ্ধে তাদের প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে চিহ্নিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যতদিন উন্নত না হবে, ততদিন তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন সামনের দিনগুলোতে আরও ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে।