আজ রাতে মুসলমানরা পবিত্র শবে বরাত বা সৌভাগ্যের রজনী পালন করবেন। হিজরি শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহর জন্য এক বিশেষ মাহাত্ম্যময় রাত। এই রাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁর অসীম রহমত ও বরকত অবতীর্ণ করেন। মুসলমানরা এই রাতে নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত এবং বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করেন। এটিকে ‘লাইলাতুল বরাত’ও বলা হয়, যা ক্ষমা প্রার্থনা এবং দুঃখ-দুর্দশা থেকে মুক্তি পাওয়ার বিশেষ সুযোগ।
এবারের শবে বরাতে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বিস্ফোরক দ্রব্য, আতশবাজি, পটকা ও অন্যান্য ক্ষতিকারক ও পরিবেশ দূষণকারী দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। পুলিশ বলেছে, এই রাতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে এবং মানুষের নিরাপত্তা সুরক্ষিত রাখতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা) নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে শুক্রবার সন্ধ্যায় ওয়াজ, দোয়া মাহফিল, কুরআন তিলাওয়াত এবং হামদ-নাতের অনুষ্ঠান হবে। ধর্মীয় নেতারা লাইলাতুল বরাতের গুরুত্ব, ফজিলত ও তাৎপর্য তুলে ধরবেন। রাত ৬টা ৩৫ মিনিটে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন লাইলাতুল বরাআতের শিক্ষা ও করণীয় নিয়ে আলোচনা করবেন। পরবর্তীতে রাত ৭টা ১০ মিনিটে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খান ফজিলত ও তাৎপর্য নিয়ে বক্তব্য রাখবেন। রাত ৮টা ৫০ মিনিটে ড. খলিলুর রহমান মাদানি ও রাত সোয়া ২টায় হাফেজ মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান বিশেষ ওয়াজ করবেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শবে বরাতের মাহাত্ম্য নিয়ে একটি বাণী প্রদান করেছেন, যেখানে তিনি বলেন, এই রাত মানবজাতির জন্য অশেষ রহমত ও বরকত বয়ে আনে। তিনি সবাইকে শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান এবং দেশের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার পরামর্শ দেন।
মহান আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত লাভের উদ্দেশ্যে মুসলমানরা শবে বরাতে বিশেষ ইবাদত-বন্দেগী করবেন, এবং একে অপরের জন্য দোয়া করবেন।