আজ থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশে চতুর্থ অর্থনৈতিক শুমারি। ১৫ দিনব্যাপী এই শুমারির তথ্য সংগ্রহের কাজ আগামী ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রতি ১০ বছর পর এ ধরনের শুমারি আয়োজন করে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার সঠিক তথ্য সংগ্রহের জন্য। এবারের শুমারিতে ৯৫ হাজার তথ্য সংগ্রহকারী কাজ করবেন, যারা দেশব্যাপী বিভিন্ন অঞ্চলে তথ্য সংগ্রহ করবেন।
আজ সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বিবিএস সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে শুমারির বিস্তারিত জানানো হয়। শুমারির কার্যক্রম সম্পর্কে তুলে ধরেন জনশুমারি প্রকল্পের ডেপুটি প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান। এতে উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বিবিএস মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, অর্থনৈতিক শুমারি প্রকল্পের পরিচালক এস এম শাকিল আখতার এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা।
শুমারিতে এবার ৭০টি প্রশ্ন রাখা হবে, যার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক দিকের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। বিশেষত, এবার প্রথমবারের মতো ক্যাপি পদ্ধতিতে ট্যাবলেট ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ করা হবে, যা পূর্ববর্তী শুমারির তুলনায় অনেক বেশি কার্যকরী। ইতোমধ্যে লিস্টিংয়ের মাধ্যমে ১ কোটি ২২ লাখ ইউনিট চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
এছাড়াও, এই শুমারি থেকে প্রথমবারের মতো দেশে কতজন বিদেশি কর্মী নিয়োজিত আছেন, তারা কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এবং নারী-পুরুষের সংখ্যা কেমন, তা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। এসব তথ্য দেশের শ্রমবাজার এবং কর্মসংস্থান পরিস্থিতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দেবে।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন জানান, শুমারির সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়েছে। জিওগ্রাফিক্স ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) এবং ডিজিটাল ম্যাপিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ সহজ ও দ্রুত করা হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, তথ্য সংগ্রহকারীদের গুণগত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ৩ ধাপে তাদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে, যাতে শুমারির তথ্যের সঠিকতা নিশ্চিত করা যায়। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো এবং প্রবণতা সম্পর্কে সঠিক ও আপডেটেড তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে উন্নয়ন পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সাহায্য করবে এই শুমারি।