দেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে দায়িত্বহীনতা ও জবাবদিহির অভাবে—এমন মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব এস এম শাকিল আখতার। তিনি বলেন, “প্রকল্প পাশের সময় যেভাবে নথিতে লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও বাস্তবায়নের রোডম্যাপ বিস্তারিতভাবে লেখা হয়, বাস্তব পর্যায়ে তার বেশিরভাগই উপেক্ষিত থাকে।”
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত *‘ন্যাশনাল এনার্জি রেজিলেন্স থ্রো রিনিউয়েবল ইন্টিগ্রেশন: দ্যা বাংলাদেশ পার্সপেক্টিভ’* শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে তিনি এই অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
সচিব বলেন, অনেক সময় প্রকল্পের অনুমোদনের জন্য সুন্দরভাবে লেখা কাগজপত্রই প্রধান হাতিয়ার হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু হলে সেই পরিকল্পনার ছিটেফোঁটাও মানা হয় না। বরাদ্দ পাওয়ার পর বাস্তবায়নে গাফিলতি নতুন কিছু নয়। “এই সংস্কৃতি পরিবর্তন না হলে কোনো প্রকল্পই কাঙ্ক্ষিত ফল দেবে না,” মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্প ব্যর্থ হলে পুরো একটি দলকে দায়ী করার প্রবণতা সমস্যাকে আরও জটিল করে তোলে। “২০–৩০ জনকে দায়ী করার বিষয়টি বাস্তবে অযৌক্তিক। প্রকল্পের বাস্তবায়ন নির্দিষ্ট কয়েকজনের হাতে থাকে। যারা দায়িত্বে থেকে কাজ করতে ব্যর্থ হন, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত,” বলেন সচিব।
শাকিল আখতার মনে করেন, ব্যক্তিপর্যায়ে জবাবদিহি নিশ্চিত করা ছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নের শৃঙ্খলা ফেরানো অসম্ভব। তিনি বলেন, “শাস্তির নিশ্চয়তা প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই প্রকল্প বাস্তবায়ন সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আসবে। যেদিন থেকে সুনির্দিষ্টভাবে দায় নির্ধারণ ও ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হবে, সেদিন থেকেই উন্নয়ন প্রকল্পগুলো গতি পাবে।”
সেমিনারে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্থিতিশীলতা এবং ভবিষ্যৎ জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর প্রকল্প ব্যবস্থাপনার গুরুত্বও তুলে ধরা হয়।


