জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেড নরসিংদীর ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব নন-কারেন্ট সম্পদ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চলমান পরিস্থিতি ও চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় কেন্দ্রটি আর চালু রাখার প্রয়োজন না থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশ রুরাল ইলেকট্রিফিকেশন বোর্ডের (বিআরইবি) সঙ্গে কেন্দ্রটির ১৫ বছরের বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তি সম্প্রতি শেষ হয়। কোম্পানি জানায়, বিদ্যমান চুক্তি নবায়নে বিআরইবি আগ্রহী নয়। ফলে কেন্দ্রটি বন্ধ করে স্থায়ী সম্পদ বিক্রি করা ছাড়া অন্য পথ নেই।
এর আগেও ২০২৪–২৫ অর্থবছরে চুক্তি নবায়ন না হওয়ায় টাঙ্গাইল ও ফেনীর দুইটি ২২ মেগাওয়াট কেন্দ্রের স্থায়ী সম্পদ বিক্রি করেছে কোম্পানি। ওই দুই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) নবায়ন না করায় ডরিন পাওয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়।
অর্থনৈতিক সূচকে কোম্পানির পারফরম্যান্স আগের তুলনায় উন্নতি দেখাচ্ছে। চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৮১ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৪৮ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ টাকা ২৪ পয়সায়।
সর্বশেষ ২০২৪–২৫ অর্থবছরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে কোম্পানি। ওই বছরে ইপিএস ছিল ৩ টাকা ১৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরের তুলনায় যা উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি। ৩০ জুন ২০২৫ শেষে কোম্পানির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৫২ টাকা ৪৩ পয়সায়।
২০০৮ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করা ডরিন পাওয়ার ২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমানে কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১৮১ কোটি টাকার বেশি। মোট শেয়ারের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে থাকলেও সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশীদারিও উল্লেখযোগ্য।


