সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ২০২৪ হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদনে বড় অঙ্কের অনিশ্চিত পাওনা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। নিরীক্ষা প্রতিবেদনে দেখা যায়, কোম্পানির হিসাবে প্রায় ১১০ কোটি টাকার বকেয়া অর্থ দেখানো হলেও এই অর্থ কার কাছ থেকে আদায়যোগ্য—সে বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য দিতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত নিরীক্ষা মতামতে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় নথি ও যাচাইযোগ্য তথ্যের অভাবে এই পাওনার বাস্তবতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান ফেমস অ্যান্ড আর, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস জানায়, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ দেনাদারদের নির্দিষ্ট তালিকা বা নিশ্চিতকরণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হওয়ায় তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে যাচাই কার্যক্রমও সম্পন্ন করা যায়নি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ হিসাব বছরে কোম্পানি অগ্রিম, আমানত ও ঋণ হিসেবে প্রায় ১৪৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা প্রদান দেখিয়েছে, যার মধ্যে ১০৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ফেরতযোগ্য হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, আগের হিসাব বছরেও একই অঙ্কের বকেয়া ফেরতযোগ্য হিসেবে দেখানো হয়েছিল, যা দীর্ঘদিন ধরে অনাদায়ী অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে যে, অতীতে সোনালী লাইফের পরিচালনায় অনিয়ম ও সুশাসনের ঘাটতি ছিল। সেই সময় এসব বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় বর্তমান হিসাবেও এর প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই অনিশ্চিত পাওনা বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও কোম্পানির আর্থিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।


