ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমসটেক ইয়ং জেনারেশন ফোরামে তরুণদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে তরুণদের চাকরিপ্রার্থী হয়ে নয়, বরং উদ্যোক্তা হয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
ফোরামের মূল বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখার সময় অধ্যাপক ইউনূস উল্লেখ করেন যে, বর্তমান প্রজন্ম আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি শক্তিশালী এবং সম্ভাবনাময়। তিনি তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘তুমি রাতারাতি সবকিছু পরিবর্তন করতে পারবে না, কিন্তু ছোট পরিসরে শুরু করে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আনতে পারো।’
অধ্যাপক ইউনূস তার বক্তব্যে তরুণদের ক্ষুদ্র পরিসরে ব্যবসা শুরু করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘শুরুতে বড় পরিসরে ব্যবসা চালু করা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এজন্য ধাপে ধাপে ব্যবসার সম্প্রসারণ করা উত্তম।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ অন্য কারও অধীনে কাজ করার জন্য জন্মগ্রহণ করেনি। বরং তারা উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য জন্মগ্রহণ করেছে।’ তাই তরুণদের উচিত চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেদের উদ্যোগ শুরু করা এবং নতুন কিছু সৃষ্টির মাধ্যমে সমাজে পরিবর্তন আনা।
ড. ইউনূস তরুণদের শুধুমাত্র লাভের উদ্দেশ্যে নয়, বরং সামাজিক সমস্যার সমাধানের জন্য ব্যবসা পরিচালনার পরামর্শ দেন। তিনি সামাজিক ব্যবসার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে আমরা শুধু নিজেদের উন্নতি করব না, বরং চারপাশের মানুষদের জীবনেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারব।’
নুষ্ঠানে উপস্থিত তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই প্রজন্মের তরুণরা ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রজন্ম। তোমাদের হাতেই রয়েছে আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই উদ্যোক্তা হয়ে নতুন দিগন্ত উন্মোচন কর।’
অধ্যাপক ইউনূসের এই বক্তব্য তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক। উদ্যোক্তা হয়ে নিজেদের গড়ে তুলতে পারলে তারা নিজেদের পাশাপাশি সমাজকেও এগিয়ে নিতে পারবে। তাই চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার মানসিকতা গড়ে তোলার সময় এখনই। আমি একটি নতুনভাবে উপস্থাপিত সংবাদ তৈরি করেছি, যা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের মূল ভাবনা ধরে রেখেছে, তবে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছে। আপনি চাইলে এটি আরও সম্পাদনা করতে পারেন!


