আজ বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হলো মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। এ বছর ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭০ জন শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। চলবে আগামী ১৩ মে পর্যন্ত। প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু হলো এই বহুল গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা।
তত্ত্বীয় পরীক্ষাগুলো নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হবে ১৫ মে থেকে ২২ মে পর্যন্ত। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, মোট ৩ হাজার ৭১৫টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে ছাত্রী ৯ লাখ ৬৭ হাজার ৭৩৯ জন এবং ছাত্র ৯ লাখ ৬১ হাজার ২৩১ জন।
এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য বোর্ড থেকে ১৪টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে পৌঁছানো, নির্ধারিত সময় অনুযায়ী প্রশ্নপত্রে উত্তর দেওয়া, সঠিকভাবে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর পূরণ, এবং পরীক্ষার প্রতিটি অংশে পৃথকভাবে উত্তীর্ণ হওয়াসহ রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম।
বিশেষভাবে বলা হয়েছে, বহুনির্বাচনি (MCQ) ও সৃজনশীল/রচনামূলক (CQ) পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না। এ ছাড়া, কেবল নির্ধারিত বিষয়েই পরীক্ষার্থী অংশ নিতে পারবে, অন্য কোনো বিষয়ের পরীক্ষা দেওয়া যাবে না।প্রতিটি পরীক্ষার্থীকে উত্তরপত্রে ওএমআর ফরম সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে এবং উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না। নিজ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ নেই; স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে।
সাধারণ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে, তবে মোবাইল ফোন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। কেন্দ্রসচিব ছাড়া কেউ মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না।পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর যদি কেউ পুনঃনিরীক্ষার প্রয়োজন মনে করে, তাহলে ফল ঘোষণার সাত দিনের মধ্যে এসএমএসের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করা যাবে।
পরীক্ষা সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা নিয়েছে। শিক্ষাবোর্ডগুলো পরীক্ষার্থীদের সতর্ক থেকে নিয়ম মেনে অংশগ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে। দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিতে যাওয়া লাখো শিক্ষার্থীর জন্য রইল শুভকামনা।


