ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় এবারের ঈদযাত্রাতেও যানজটের আশঙ্কা করছেন যাত্রী ও চালকরা। বিশেষ করে সাসেক-২ প্রকল্পের কাজ এবং যমুনা সেতুর সিঙ্গেল লেনের কারণে স্বাভাবিক গতিতে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে যানজট নিরসনে নানা উদ্যোগের কথা জানিয়েছে প্রশাসন ও সেতু কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত চারলেন সম্প্রসারণের ফলে অনেকটাই যানজটমুক্ত থাকলেও এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত সাসেক-২ প্রকল্পের কাজ এখনও চলমান। এতে মহাসড়কের নির্দিষ্ট অংশে যান চলাচল ধীরগতির হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। চালক ও যাত্রীরা জানান, উন্নয়নকাজের কারণে প্রতিদিনই কিছু সময়ের জন্য যানজট তৈরি হয়, যা ঈদের সময় আরও বাড়তে পারে।
একজন বাসযাত্রী বলেন, “সাধারণ দিনেই যানজট লেগে থাকে, আর ঈদের সময় সেটা আরও বেশি হবে। বিশেষ করে দুপুরের গরমে যানজটে আটকে থাকলে ভোগান্তি বেড়ে যায়।” চালকরাও একই সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এক ট্রাকচালক জানান, “ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত ঠিকই চলতে পারি, কিন্তু যমুনা সেতুর আগেই যানজটে পড়তে হয়।”
যমুনা সেতুতে যানজট কমাতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। যমুনা সেতু সাইট অফিসের প্রকৌশলী মো. আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, “এবার সেতুর টোলপ্লাজার সব বুথ চালু রাখা হবে। দুই পাশ মিলিয়ে ১৮টি বুথ চালু থাকবে, যাতে দ্রুত টোল আদায় করা যায় এবং যানজট না হয়।” সাসেক-২ প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার রবিউল আওয়াল জানান, “ব্রিজ-কালভার্টসহ বেশিরভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আমরা আশা করছি, ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভোগান্তি হবে না।”
ঈদযাত্রায় যানজট নিয়ন্ত্রণে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, “যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারেন, সেজন্য পুলিশের বিশেষ টহল ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হয়েছে।” স্বাভাবিক সময়ে এই মহাসড়কে প্রতিদিন ১০-১৫ হাজার যানবাহন চলাচল করে, তবে ঈদের সময় সেটি তিনগুণ বেড়ে যায়। ফলে যানজট এড়াতে সংশ্লিষ্টরা যাত্রীদের বিকল্প সময়ে ভ্রমণের পরামর্শ দিচ্ছেন।