দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে দিয়ে লেনদেন চলছে। বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, যা বাজারে ইতিবাচক প্রবণতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, বাজারের লেনদেন শুরুর পর থেকে সূচকের ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু হওয়ার পর প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ২০ দশমিক ৫০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫,১৬৭ পয়েন্টে। বাজারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে, বিশেষ করে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের প্রতি।
শুধু প্রধান সূচক নয়, শরিয়াহভিত্তিক সূচক ‘ডিএসইএস’ও ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। এটি ২ দশমিক ১১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,১৪৪ পয়েন্টে। তবে ব্লু-চিপ সূচক ‘ডিএস-৩০’ কিছুটা নিম্নমুখী হয়েছে, যা ২ দশমিক ৮০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১,৯১৩ পয়েন্টে। বিশ্লেষকদের মতে, বাজারে সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক প্রবণতা থাকলেও কিছু বড় কোম্পানির শেয়ারে বিক্রির চাপ থাকায় ডিএস-৩০ সূচকে এ প্রভাব পড়েছে।
লেনদেনের দিক থেকে দেখা যায়, সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ডিএসইতে মোট ২১৬ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। এ সময়ে বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে, বীমা ও ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের বেশ কয়েকটি শেয়ারে চাহিদা বাড়তে দেখা গেছে। বাজারে আজ বেশিরভাগ শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। মোট ৩৯৫টি কোম্পানির মধ্যে ২৩০টির শেয়ারদর বেড়েছে, ৯৫টির কমেছে এবং ৭০টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারে কিছু ইতিবাচক নীতিগত পরিবর্তন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তা বাজারকে উত্সাহিত করছে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের জন্য বর্তমান বাজার পরিস্থিতি আশাব্যঞ্জক। তবে তারা সতর্কতার সঙ্গে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দিয়েছেন, যাতে বাজারের স্বল্পমেয়াদী ওঠানামার মধ্যে ঝুঁকি কমানো যায়। বর্তমান বাজার পরিস্থিতি ইতিবাচক থাকলেও বিনিয়োগকারীদের মনে রাখতে হবে যে পুঁজিবাজারে ঝুঁকি সবসময় বিদ্যমান। তাই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কৌশলী হওয়া এবং বাজারের পরিবর্তনগুলোর দিকে নজর রাখা গুরুত্বপূর্ণ।