ময়মনসিংহের সড়কে যেন থামছেই না মৃত্যুর মিছিল। একের পর এক দুর্ঘটনায় ঝরছে প্রাণ। দুর্ঘটনার হটস্পট হয়ে উঠেছে ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাট আঞ্চলিক সড়কের ফুলপুর ও তারাকান্দা অংশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অতিরিক্ত বাঁক, বেপরোয়া গতি আর তিন চাকার যানবাহনের দাপট পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।
ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাট সড়কের ফুলপুর ও তারাকান্দা। সম্প্রতি দুর্ঘটনার হটস্পট হয়ে উঠেছে এই এলাকা। থামছেই না মৃত্যুর মিছিল। প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা, ঝরছে প্রাণ। আহত হচ্ছেন অনেকেই। জেলায় চলতি মাসেই সড়কে প্রাণ গেছে ৪১ জনের।
সম্প্রতি তিন দিনের ব্যবধানে এ দুই উপজেলায় তিনটি দুর্ঘটনায় নিহত হন ১৩ জন। এলাকাবাসী বলছেন, এই রুটে বাক বেশি থাকায় বাড়ছে দুর্ঘটনার পরিমাণ। পাশাপাশি গাড়ি চালকদের প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবের কারণেও ঘটছে দুর্ঘটনা
সড়কে আরেক ভয়ের কারণ তিন চাকার যানের অবাধ-অনিয়ন্ত্রিত চলাচল। লোকাল বাস সার্ভিস না থাকায় এক্ষেত্রে নিরুপায় যাত্রীরাও। চালক ও যাত্রীরা বলেন, লোকাল বাস সার্ভিস না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
ময়মনসিংহ নিরাপদ সড়ক চাই এর সভাপতি আব্দুল কাদের চৌধুরী বলেন, প্রশাসনের লোকজন তাদের দায়িত্ব এড়িয়ে চলার পাশাপাশি সড়কে তিন চাকার অবাধ চলাচলে ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রাণ যাচ্ছে মানুষের।
তবে পুলিশ ও বিআরটিএ বলছে, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করছেন তারা। ময়মনসিংহ বিআরটিএর মটরযান পরিদর্শক জহির উদ্দিন বাবুল বলেন, সাময়িকভাবে জরিমানা করা যেতে পারে। চালক ও যাত্রীদের সচেতন হতে হবে। সচেতন না হলে দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব নয়।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এই রুটে অনেক বেশি যানবাহন ও যাত্রী চলাচল করে। পুলিশের অল্প জনবল দিয়ে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। পুলিশের পাশাপাশি সরকারের অন্যান্য সংস্থাগুলোও এগিয়ে আসতে হবে।
পুলিশের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ১৩৮ জন। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। আর এসব দুর্ঘটনায় মামলা হয়েছে ১২৮টি। আইন না মানা, যানবাহনের বেপোরোয়া গতি আর নিয়ন্ত্রণহীন থ্রি হুইলারে ময়মনসিংহের সড়কগুলো এখন যেন চলন্ত মৃত্যু ফাঁদ। এ থেকে মুক্তি চায় সাধারণ মানুষ।


