অসদুপায় অবলম্বন করায় দুটি ফিলিং স্টেশনকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসন ও বিএসটিআইয়ের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে এ জরিমানা আদায় করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফরিদুল ইসলাম। ওই সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএসটিআই, কুমিল্লা অফিসের কর্মকর্তাগণ। ঘটনাস্থলে যাত্রা শুরু করে দুটি পেট্রোল পাম্পের তেল পরিমাপের ব্যবস্থা পরীক্ষা করা হয়। অভিযোগ ছিল, কিছু পাম্পে তেলের পরিমাণ কম দেয়া হচ্ছে, যা গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল।
পদুয়ার বাজার এলাকার মেসার্স এস কে ফিলিং স্টেশন ও মেসার্স ডায়মন্ড ফিলিং স্টেশন নামক দুটি পাম্পে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
প্রথমে, মেসার্স এস কে ফিলিং স্টেশনে পেট্রোল এবং একটি ডিজেল ডিসপেন্সিং ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে ৬০ মিলিলিটার তেল কম দেওয়ার তথ্য পাওয়া যায়। এজন্য দুইটি ডিসপেন্সিং ইউনিটকে ডিটেইন করে বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং ওই স্টেশনটি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত।
পরবর্তীতে, মেসার্স ডায়মন্ড ফিলিং স্টেশনটি অকটেন এবং ডিজেল ডিসপেন্সিং ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে ৪০ মিলিলিটার তেল কম দেওয়া দেখতে পাওয়া যায়। এর পর, ওই দুটি ডিসপেন্সিং ইউনিটও বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং প্রতিষ্ঠানটিকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বিএসটিআই ও কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, সাধারণ মানুষের স্বার্থে এই ধরনের অভিযান চালানো হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তারা আরও বলেন, যারা তেল পরিমাপের ক্ষেত্রে অসদুপায় অবলম্বন করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া, অভিযানটি পরিচালনা করতে যেসব কর্মকর্তাগণ দায়িত্ব পালন করেন, তাদের মধ্যে ছিলেন বিএসটিআই কুমিল্লা অফিসের কর্মকর্তা কে এম হানিফ, উপপরিচালক মো. পূজন কর্মকার, সহকারী পরিচালক মো. আরিফ উদ্দিন প্রিয়, পরিদর্শক মো. হাফিজুর রহমান এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।