পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় শীতের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। শনিবার ভোরে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে, যা চলতি মৌসুমের মধ্যে সবচেয়ে কম। শুক্রবার ভোরে তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিসের সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ জানান, এই অঞ্চলে পৌষ-মাঘ মাসে শীতের প্রকোপ আরও বাড়বে। ভোরে ঠান্ডার পরিমাণ বেশি থাকলেও সকাল ১০টার পর সূর্যের তাপ কিছুটা বাড়ে। তবে সন্ধ্যার পর থেকে উত্তরের হিমেল বাতাসে ঠান্ডা আবার বাড়তে থাকে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শীতের তীব্রতা এত দ্রুত বাড়বে তা কল্পনা করেননি। ইতোমধ্যে শীতবস্ত্র বের করতে বাধ্য হয়েছেন তারা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডার প্রকোপ আরও তীব্র হচ্ছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রার এই পার্থক্যের কারণে জনজীবনে প্রভাব পড়েছে।
শীতের কারণে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। পঞ্চগড় সদর হাসপাতাল এবং তেঁতুলিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বৃদ্ধরা সর্দি, কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকদের মতে, তাপমাত্রা আরও কমলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
এমন অবস্থায় চিকিৎসক ও স্থানীয় প্রশাসন সাধারণ মানুষকে শীতজনিত রোগ থেকে বাঁচতে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন। প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র ব্যবহার, খাবারে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার গুরুত্বও তুলে ধরা হয়েছে।
পঞ্চগড়ের শীতের এই চিত্র শীতের প্রস্তুতির ওপর জোর দিতে ইঙ্গিত দিচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন সংস্থা শীতার্তদের সাহায্যে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।