ঢাকা: অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মানবাধিকার সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর উদ্যোগে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মাহফুজ আলম বলেন, সরকার ইতোমধ্যে গুমের ঘটনা তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠন করেছে। এই কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী অনেকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে এবং কয়েকজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যারা গুমের ঘটনায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, অতীত সরকার বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের দমন করতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে গুমের ঘটনা ঘটিয়েছে। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই বহু মানুষকে গুম করা হয়েছে, যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।মাহফুজ আলম দাবি করেন, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে যখন জনগণ ভোটাধিকারের জন্য আন্দোলন করছিল, তখনই সবচেয়ে বেশি গুমের ঘটনা ঘটেছে। এই গুমের মাধ্যমে সে সময়কার সরকার দেশে নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করতে চেয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, অতীত সরকার বিরোধীদের জঙ্গি ও সন্ত্রাসী তকমা দিয়ে গুম করেছিল। তাদের পরিবারকে আতঙ্কে রাখা হয়েছিল, যাতে কেউ প্রতিবাদ করতে না পারে।
তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারের পাশে থাকবে। যারা স্বজন হারিয়েছে, তারা যাতে ন্যায়বিচার পায়, সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে না।
তিনি গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারগুলোর প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন ঐক্যবদ্ধ থাকে এবং আইনি লড়াই চালিয়ে যায়। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।