বেসরকারি খাতের শীর্ষ ব্যাংক ইস্টার্ণ ব্যাংক পিএলসি তাদের গ্রাহক মুর্তজা আলীর বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করেছে। ৪ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম দায়রা জজ আদালতে এই মামলা করা হয়, যেখানে ইস্টার্ণ ব্যাংকের আইন বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা এইচ এম হাসান মাহমুদ আদালতে আবেদন করেন।
এটি একটি প্রতিক্রিয়া হিসেবে আসে, যখন মুর্তজা আলী ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে ১১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে এই মামলা দায়ের করেন তিনি। মুর্তজা আলীর অভিযোগ, ২০১৭-১৮ সালে ইস্টার্ণ ব্যাংক তার নামে জাল সঞ্চয়ী হিসাব এবং ঋণ হিসাব খুলে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছে।
ইস্টার্ণ ব্যাংক অভিযোগ করেছে, মুর্তজা আলী তার মামলায় ব্যাংকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন এবং সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনাটি ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে, যার ফলে ব্যাংকের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। ব্যাংকটি দাবি করেছে, মুর্তজা আলী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের সুনাম নষ্ট করার জন্য এই মামলা করেছেন। তাদের মতে, ব্যাংকের বিরুদ্ধে করা অভিযোগে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই এবং এটি শুধুমাত্র হয়রানির উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
এদিকে, মুর্তজা আলী জানান, তিনি ২০১৭ সালে ইস্টার্ণ ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় জমা রাখার পর সঠিক সুদ পাননি এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন কারণে ব্যাংকটির বিরুদ্ধে মামলায় আইনি ব্যবস্থা নেন। তার দাবি, তিনি বর্তমানে ১১ কোটি টাকা পাওনা আছেন, যা ব্যাংক থেকে ফেরত পাওয়ার জন্য আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন।