রাজধানীর শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞে শহীদদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখে স্মরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া শনিবার (১৮ অক্টোবর) এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “শাপলা চত্বরে শহীদদের স্বীকৃতি প্রদানের এই উদ্যোগ আমাদের জন্য গর্বের। যারা ঐ দিন শহীদ হয়েছেন, তাদের নাম চত্বরের স্থায়ী স্থাপনায় লেখা হবে।”
এই উপলক্ষে একই দিনে রাজধানীর আব্দুল গনি রোডের ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শহীদদের পরিবারগুলোর মাঝে আর্থিক সহায়তা হিসেবে চেক বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে ২০১৩ সালের হত্যাকাণ্ডে নিহত ৭৭টি পরিবারকে মোট ৭ লাখ ৭৪ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, “২০১৩ সালের ৫ মে আমার বয়স তখন ১৫। ক্লাস নাইন-এ পড়তাম। সেই বর্বর হত্যাযজ্ঞের ভয়াবহ স্মৃতি আজও আমার চোখে ভাসে। তখন সারা বাংলাদেশ পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করেছে, কিন্তু ক্ষমতাসীনদের প্রভাবশালী কিছু মহল সেটাকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল। শহীদদের পরিবারগুলোও তখন পরিচয় প্রকাশ করতে ভয় পেতো।”
তিনি শহীদদের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদানের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই ইতিহাস সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমরা চাই, যারা গণতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রাণ দিয়েছেন, তাদের স্মরণ শুধু স্মৃতিচারণে সীমাবদ্ধ না থেকে দেশের ইতিহাসে স্থায়ীভাবে স্থান পাক।”
উল্লেখ্য, শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন এবং ২০২১ সালের মার্চে বিক্ষোভ কর্মসূচির সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের স্মৃতিচারণে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আসিফ মাহমুদ আশা প্রকাশ করেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করতে এই উদ্যোগ ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।