রমজানে চাহিদা বেশি থাকা সত্ত্বেও এবার আলু ও পেঁয়াজের বাজার ছিল তুলনামূলকভাবে স্বস্তিদায়ক। অন্যদিকে, বেগুন, শসা ও লেবুর দামে ছিল উত্থান-পতন, যা ভোগান্তিতে ফেলেছে ক্রেতাদের।
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, রমজানের শুরু থেকে ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ বর্তমানে ৩০-৪০ টাকায় নেমে এসেছে। অন্যদিকে, আলুর দামও স্থিতিশীল রয়েছে। গত সপ্তাহে সামান্য বাড়লেও এখন প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। ফলে এই দুটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে স্বস্তিতে আছেন ক্রেতারা। তবে ভিন্ন চিত্র বেগুন, শসা ও লেবুর বাজারে। রমজানের শুরুতে উচ্চমূল্যে বিক্রি হওয়া এসব পণ্য এখনও বেশ চড়া দামে মিলছে। বাজারে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০-১২০ টাকায়, মানভেদে শসার দাম ৫০ টাকা ও ক্ষিরার দাম ৩০-৪০ টাকা। লেবুর দাম কিছুটা কমলেও এখনো প্রতি হালি লেবু ৫০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা অনেকের নাগালের বাইরে।
ক্রেতারা বলছেন, প্রতিবছর রমজানে চাহিদার কারণে বেগুন, শসা ও লেবুর দাম বাড়লেও এবার তা আরও বেশি ভোগান্তি সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে ইফতার তৈরির জন্য এই তিনটি পণ্যের গুরুত্ব থাকায় দামের ওঠানামা বাজারে বাড়তি চাপ তৈরি করছে। বিক্রেতাদের দাবি, সরবরাহ সংকটের কারণেই বেগুন, শসা ও লেবুর দাম কমছে না। সরবরাহ কিছুটা বাড়লে দামও সামান্য কমে, কিন্তু পরে আবার বেড়ে যায়। এ কারণে বাজারে স্থিতিশীলতা থাকছে না।
তবে বেশ কিছু সবজির দাম তুলনামূলকভাবে স্বস্তিতে রয়েছে। করলা প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, লতি ৬০ টাকা ও পটোল ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঢ্যাঁড়শের দাম ৭০-৮০ টাকা হলেও, পেঁপে ৩০ টাকা, গাজর ২৫-৩০ টাকা, টমেটো ২৫-৩০ টাকা ও শিম ২৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া ফুলকপি ২০-২৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা ও লাউ ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।বাজার বিশ্লেষকদের মতে, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের দাম চড়া থাকছে। তবে রোজার মাঝামাঝি ও শেষে দাম কিছুটা কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।