বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে, যা সরাসরি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক শুল্ক নীতি ও বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে ঘটেছে। ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অধিকাংশ আমদানির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে, আর কিছু বিশেষ দেশকে লক্ষ্য করে আরও উচ্চতর শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তও নিয়েছেন। এই সিদ্ধান্ত বিশ্ববাজারে শোরগোল ফেলেছে এবং বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে স্বর্ণে বিনিয়োগ করার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্সে ৩,১৪৮ ডলারে পৌঁছেছে, যা দিনের শুরুর দিকে ছিল ৩,১৬৭ ডলার। একই সময়ে, ফিউচার মার্কেটেও স্বর্ণের দাম ৩,১৭২ ডলার পার করেছে। বাণিজ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক বৃদ্ধির ফলে অর্থনৈতিক মন্দা হতে পারে, যা স্বর্ণের চাহিদা বৃদ্ধি করছে। একদিকে শুল্ক আরোপের ফলে মার্কিন অর্থনীতি ধীর হতে পারে, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে তাদের রিজার্ভে মার্কিন ডলার-মূল্যায়িত সম্পদের পরিবর্তে স্বর্ণ রাখতে বাধ্য করবে, ফলে স্বর্ণের দাম আরও বাড়তে পারে।
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর এই প্রভাব দেশের বাজারেও দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) সম্প্রতি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম প্রতি ভরি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭২ টাকা নির্ধারণ করেছে, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ মূল্য। ২০২৫ সালে দেশে ১৭ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে, যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ১৩ বার এবং কমানো হয়েছে ৪ বার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়লে দেশের বাজারেও দাম সমন্বয় হতে পারে। আগামী দিনগুলোতে স্বর্ণের দাম আরও বৃদ্ধি পেতে পারে, বিশেষ করে যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কের প্রভাব বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অবস্থায় আরও অস্থিরতা সৃষ্টি করে।