রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতিসাধনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রামের যমুনা অয়েল কোম্পানির পতেঙ্গা টার্মিনাল ও আগ্রাবাদ প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে। অভিযানে দেখা গেছে, বিভিন্ন সময়ে ডিপোতে পাঠানো তেলের বিপরীতে মোট প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার লিটার ঘাটতি হয়েছে।
প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, প্রথম পার্সেলে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৬৯২ লিটার, দ্বিতীয় পার্সেলে ৫ হাজার ৮৮৮ লিটার অতিরিক্ত থাকলেও চূড়ান্ত ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৬২ হাজার ৮০৪ লিটার। এছাড়া চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে আরও ১ লাখ ১২ হাজার ৫৬১ লিটার ঘাটতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
দুদক টিম আরও রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে প্রতিবেদন তৈরি করবে, যা পর্যালোচনার পর কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হবে।
যোগাযোগ করা হলে যমুনা অয়েলের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) সৈয়দ শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘দুদক থেকে একটি টিম এসেছিল। তাদেরকে টার্মিনাল থেকে নথিপত্র দেওয়া হয়েছে।’
দুদক চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর উপপরিচালক মো. সুবেল আহমদ বলেন, ‘দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কমিশন বিষয়টি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’


