চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম ১৮ দিনে বৈধ পথে রেমিট্যান্স এসেছে ১২০ কোটি ৬৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার বা প্রায় ১৪ হাজার ৭২৪ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)। রোববার (১৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৫ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫ কোটি ৯ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮৯ কোটি ৩৩ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে মাত্র ৩৭ লাখ ২০ হাজার ডলার।
অন্যদিকে, ৯টি ব্যাংকের মাধ্যমে এ সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এদের মধ্যে সরকারি খাতের বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক উল্লেখযোগ্য। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে কমিউনিটি ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ও উরি ব্যাংকও রেমিট্যান্স আনতে ব্যর্থ হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) মোট রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৩৭৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৯৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার বেশি।
জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাসে রেমিট্যান্সের প্রবাহ ছিল যথাক্রমে: জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ডলার, আগস্টে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি ডলার এবং ডিসেম্বরে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় এ বছর রেমিট্যান্সের ধারা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও বিশেষায়িত ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর ভূমিকা কম উল্লেখযোগ্য। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ব্যাংকিং খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রবাসী আয়ের জন্য আরও উদ্ভাবনী নীতি গ্রহণের মাধ্যমে এই খাতে আরও প্রবৃদ্ধি সম্ভব।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে, প্রবাসীদের রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতির মজবুত ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে। তবে প্রবাসী আয়ের সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করতে বৈধ পথে অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে আরও সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজন।


