দেশের বাজারে আবারও স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। নতুন দামে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯০ টাকা, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানায়, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারের প্রভাব বিবেচনায় এনে স্বর্ণের এই নতুন দর নির্ধারণ করা হয়েছে, যা রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) থেকে কার্যকর হবে।
বাজুসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নতুন দামে বিভিন্ন ক্যারেটের স্বর্ণের মূল্য নির্ধারিত হয়েছে নিম্নরূপ:
২২ ক্যারেট: প্রতি ভরি ১,৪৪,৮৯০ টাকা (বৃদ্ধি ২,০৯৯ টাকা)
২১ ক্যারেট: প্রতি ভরি ১,৩৮,৩০০ টাকা
১৮ ক্যারেট: প্রতি ভরি ১,১৮,৫৪১ টাকা
সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ: প্রতি ভরি ৯৭,৪৭৬ টাকা
বাজুস জানিয়েছে, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকায় দেশীয় বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বাড়ায় নতুন দর নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দর প্রতিনিয়ত ওঠানামা করায় স্থানীয় বাজারেও তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। এর আগে ২৯ জানুয়ারি বাজুস ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৩৬৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৪২ হাজার ৭৯১ টাকা নির্ধারণ করেছিল। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে আবারও মূল্যবৃদ্ধি নতুন রেকর্ড তৈরি করল।
স্বর্ণের দফায় দফায় মূল্যবৃদ্ধিতে ক্রেতারা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিয়ের মৌসুম থাকায় অনেকেই নতুন স্বর্ণ কিনতে চেয়েছিলেন, কিন্তু টানা মূল্যবৃদ্ধির কারণে পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে, বিক্রেতারা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারের কারণে এ মূল্যবৃদ্ধি অনিবার্য ছিল। অর্থনীতিবিদদের মতে, ডলার সংকট, বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণেই স্বর্ণের দাম বাড়ছে। আগামী দিনগুলোতে আরও মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তারা।
দেশীয় বাজারে স্বর্ণের দামের এই ঊর্ধ্বগতি ভবিষ্যতে কী প্রভাব ফেলবে, তা এখন দেখার বিষয়।