রাজধানী দামেস্কে বিদ্রোহী গ্রুপগুলো প্রবেশ করার পর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ রোববার সকালে একটি উড়োজাহাজে দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। সিরিয়ার শীর্ষ দুই সেনা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স এ খবর নিশ্চিত করেছে।
দীর্ঘ দুই দশক ধরে সিরিয়ার ক্ষমতায় থাকা আসাদ সরকারের পতন হতে চলেছে বলে জানা গেছে, যদিও তার পরবর্তী গন্তব্য এখনও নিশ্চিত নয়। বিদ্রোহী গোষ্ঠী দাবি করছে, তারা কোনো বাধাবিঘ্ন ছাড়াই দামেস্কে প্রবেশ করেছে এবং সরকারের বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারেনি।
বিদ্রোহীরা তাদের বিজয়ের পর একটি উদযাপন করেছে এবং সিরিয়ার জনগণকে মুক্তির সুসংবাদ জানিয়েছে। তারা দাবি করছে, সেদনায়া কারাগারে অবস্থিত হাজার হাজার বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেদনায়া, যেটি দামেস্কের শহরতলিতে অবস্থিত, দীর্ঘদিন ধরে আসাদ সরকারের বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের জন্য পরিচিত ছিল।
এছাড়া, বিদ্রোহীরা উল্লেখ করেছে, তারা হোমস শহরটি এক দিনের সংঘর্ষের মাধ্যমে দখল করে নিয়েছে, যা সরকারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের জয় হিসেবে গণ্য হচ্ছে। হোমসের দখল বিদ্রোহীদের সামরিক শক্তির বিস্তৃতির প্রমাণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, এবং এটি সিরিয়ার যুদ্ধের নতুন অধ্যায় শুরু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাশার আল-আসাদ ও তার সরকারের পতন সিরিয়ার দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধের নতুন মোড়কে পরিণত হয়েছে, যেখানে সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা অঞ্চলগুলো দ্রুত সংকুচিত হচ্ছে।