রমজানের শুরুতে বাড়তি দামে বিক্রি হওয়া অনেক নিত্যপণ্যের দাম এখন নিম্নমুখী। সরবরাহ বাড়ায় কমেছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম। সেই সঙ্গে লেবু, শসা ও বেগুনের দামেও এসেছে স্বস্তি। রাজধানীর কারওয়ানবাজার, হাতিরপুল ও নয়াবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ টাকায়। সোনালি মুরগির কেজিপ্রতি দাম ৩০ টাকা কমে নেমেছে ২৬০-২৮০ টাকায়। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০-৬৮০ টাকায়, আর লেয়ার মুরগির দাম ২৭০-৩০০ টাকার মধ্যে রয়েছে।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, রমজানে চাহিদা কম থাকায় দামও কমতির দিকে। এ প্রবণতা বজায় থাকলে ঈদের আগ পর্যন্ত বাজার স্বাভাবিক থাকতে পারে।
রমজানের আগে বেড়ে যাওয়া লেবুর দামও এখন নিম্নমুখী। গত সপ্তাহে প্রতি হালি লেবু ৮০-১২০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা কমে ৬০-৮০ টাকায় নেমেছে। বেগুনের দামও কমেছে, বর্তমানে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৬০-১২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। শসা ও ক্ষিরার দামও কমে প্রতি কেজি ৩০-৪০ টাকায় এসেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এসব পণ্যের দাম কমছে। ক্রেতারাও এতে স্বস্তি পাচ্ছেন। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০-৮৫০ টাকা, খাসির মাংস ১,২৫০ টাকা ও ছাগলের মাংস ১,১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের দামও কিছুটা কমেছে। রুই মাছ ৩৫০-৪২০ টাকা, কাতল ৩৮০-৪৫০ টাকা, পাঙাশ ১৮০-২২০ টাকা এবং তেলাপিয়া ১৮০-২২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
বরবটি ৫০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ১০০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, গাজর ২৫-৩০ টাকা, টমেটো ৩০-৪০ টাকা ও শিম ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আলু ২০-২৫ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন, বাজারের এ ধারা অব্যাহত থাকলে নিত্যপণ্যের দামের চাপ থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি মিলবে।


